Law & Justice
  সিলেটের ডিআইজি প্রিজন ৮০ লাখ টাকা সহ আটক
  28-07-2019

সিলেটের ডিআইজি (প্রিজন) পার্থ গোপাল বণিককে গ্রেপ্তার করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। রোববার বিকালে অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগে তার ধানমণ্ডির বাসায় অভিযান চালিয়ে ৮০ লাখ টাকা উদ্ধার করে দুদক। পরে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। দুদক জানায়, ঘুষ ও দুর্নীতির কয়েক লাখ নগদ টাকা তার বাসায় রয়েছে- এমন তথ্যের ভিত্তিতে পার্থের বাসায় অভিযান চালানো হয়। এ সময় ৮০ লাখ টাকা উদ্ধার করা হয়। পার্থ দাবি করেন, ৮০ লাখ টাকা তার বৈধ আয় থেকে অর্জিত। এর মধ্যে ৩০ লাখ টাকা শাশুড়ি দিয়েছেন। বাকি ৫০ লাখ টাকা সারাজীবনের জমানো টাকা।

এর আগে রোববার সকাল ১০টা থেকে দুপুর ২টা পর্যন্ত দুদকের প্রধান কার্যালয়ে কমিশনের পরিচালক মুহাম্মদ ইউছুফের নেতৃত্বে তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়।

এর আগে কারাগারের অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগে চট্টগ্রামের সাবেক সিনিয়র জেল সুপার প্রশান্ত কুমার বণিককেও জিজ্ঞাসাবাদ করেছে দুদক। দুদক সূত্র জানায়, গত বছরের ২৬শে অক্টোবর চট্টগ্রাম কারাগারের জেলার সোহেল রানা বিশ্বাসকে ময়মনসিংহগামী ট্রেন থেকে ৪৪ লাখ ৪৩ হাজার টাকা, আড়াই কোটি টাকার এফডিআর, ১ কোটি ৩০ লাখ টাকার চেক ও ১২ বোতল ফেনসিডিলসহ গ্রেপ্তার করে রেলওয়ে পুলিশ। চট্টগ্রাম থেকে গ্রামের বাড়ি যাওয়ার পথে গ্রেপ্তার হন তিনি। পরে সোহেল রানার বিষয়ে অনুসন্ধানে চট্টগ্রাম কেন্দ্রীয় কারাগারের দুর্নীতি নিয়ে নানা তথ্য পায় সরকারের গঠিত তদন্ত কমিটি।

তদন্ত কমিটির প্রধান ছিলেন স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব মনিরুল আলম। কমিটি সে সময় চট্টগ্রাম কেন্দ্রীয় কারাগারের তৎকালীন ডিআইজি (প্রিজন) পার্থ গোপাল বণিকসহ ৪৯ জন কর্মকর্তা-কর্মচারীর দুর্নীতির তথ্য পায়। পরে চট্টগ্রাম কেন্দ্রীয় কারাগারের দুর্নীতিবাজ কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বিষয়ে অনুসন্ধান শুরু করে দুদক। তাদের সমপদের হিসাব বিবরণীও চাওয়া হয়। এর অংশ হিসেবে পার্থ গোপাল বণিকও সমপদের হিসাব বিবরণী জমা দেন। যেখানে হিসাব বহির্ভূত বিপুল সম্পত্তির হদিস পায় দুদক।

দুদক সূত্র জানায়, পার্থ গোপাল বণিকের বিরুদ্ধে অবৈধ অর্থ উপার্জনের অভিযোগে মামলা দায়েরের প্রক্রিয়া চলছে।
উল্লেখ্য, চট্টগ্রামে দায়িত্ব পালন করা অবস্থায় তাকে সিলেটে বদলি করা হয়। দুদকের তলবে সিলেট থেকেই তিনি কমিশন কার্যালয়ে এসেছিলেন।